উপাচার্যের সাথে সমন্বয়কদের গার্ড অব অনার গ্রহন, ইবিতে সমালোচনার ঝড়
ঢাকা ইনসাইডার
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে সম্প্রতি নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪) তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেছেন।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে সম্প্রতি নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪) তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেছেন।
যোগদানের দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। সেই অনুষ্ঠানে উপাচার্যের সাথে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক এস এম সুইট এবং সহ-সমন্বয়ক নাহিদ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী হয়েও অন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে গার্ড অব অনার নেওয়ায় ক্যাম্পাসে বেশ বিতর্ক ওঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে এ নিয়ে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে, শুরু হয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই এ ঘটনা নিয়ে উষ্মা করেছেন।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সুমন কর্মকার নামের এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে লিখেছেন, "ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নবনিযুক্ত ভিসি মহোদয়ের সাথে গার্ড অব অনার নিলেন সমন্বয়ক এস এম সুইট এবং সহ-সমন্বয়ক নাহিদ। কোন যুক্তিতে রানিং স্টুডেন্ট বিএনসিসির গার্ড অব অনার নিলো সেটা বুঝে আসলো না। বিএনসিসির একজন ক্যাডেট হিসেবে বলছি— গার্ড অব অনার দেওয়া হয় ভিসিকে। ক্যাডেটদের বাইরে সেখানে ভিসি স্যারের সাথে প্রো-ভিসি ও ট্রেজার থাকতে পারেন সর্বোচ্চ। এতদিন ধরে গার্ড অব অনার দিয়ে প্রথম এমন অভিজ্ঞতা হলো।"
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেকজন শিক্ষার্থী জানান, "সমন্বয়করা আজকাল নিজেদেরকে আর সাধারণ শিক্ষার্থী ভাবে না, তারা নিজেদেরকে বিশেষ কিছু মনে করে। তারাই বিশ্ববিদ্যালয় চালাতে চায়। তারাই প্রক্টর, তারাই প্রশাসন, তারাই ভিসি। আমরা এখানে পড়তে আসছি, কারও কর্তৃত্ব মেনে নিতে নয়। এখনও যদি এরা ছাত্রলীগের মত দাপট দেখাতে থাকে তাহলে সেটা মেনে নেওয়া হবে না।"
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকজন বিএনিসিসির সদস্য বলেন, "সমন্বয়করা বর্তমানে ফ্যাসিস্টদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। তারা হল এবং বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছে। তাদের মতের বিরুদ্ধে গেলেই ছাত্রলীগ বা ফ্যাসিবাদের দোসর ট্যাগ দিয়ে হুমকি দেওয়ার কথাও আমরা শুনেছি।"
এদিকে এস এম সুইট এ ব্যাপারে তার অবস্থান পরিষ্কার করেন। নবনিযুক্ত উপাচার্যের নিরাপত্তার স্বার্থেই তারা পাশে ছিলেন বলে দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবি ছিল নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হোক। কিন্তু নতুন উপাচার্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থীরা এটা মেনে নিতে পারেনি। তাই নিরাপত্তার একটা প্রশ্ন ছিল।